বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে জেটিও নামের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ‘মেহেদি আনফিল্টার্ড’ নামের এক অনুষ্ঠানে আলজাজিরার সাবেক সাংবাদিক মেহেদি রাজা হাসানের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
এসময় মেহেদি হাসান জানতে চান- কেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি? এ বছর নেপালেও সরকারের পতন হয়েছে। দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কেন ১৮ মাস সময় নিচ্ছে?
জবাবে প্রফেসর ইউনূস বলেন, আপনি বলছেন যে জনগণ বলছে এত সময় লাগছে কেন। তবে জনগণ এটাও বলছে যে আপনারা আরও পাঁচ বছর থাকুন। ১০ বছর থাকুন। ৫০ বছর থাকুন। জনগণ এসবও বলছে যে আপনিই থাকুন। সবাই যার যার মতো বলছে। আমরা কারও কথায় কাজ করছি না। আমাদের তিনটি প্রধান কাজ রয়েছে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। শুধু নির্বাচন করে আগের মতো সব কিছু রেখে দিলে আবারও সেই একই দুর্নীতি, স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসবে। তাই আগে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, আমরা শুধু নির্বাচন করতে আসিনি। আমাদের কাজ হলো- ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা, যাতে আর কেউ গণতন্ত্রের নামে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে না পারে।
এ সময় সাংবাদিক মেহেদি হাসান জানতে চান- আপনারা তো একটি অস্থায়ী সরকার। বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব কি নির্বাচিত সরকারের নয়?
জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা বলেছি তিনটি কাজ করব। সেটা করেই আমরা সরে যাব। কেউ এ কথা অস্বীকার করছে না যে নির্বাচিত সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এখন যেটুকু করা দরকার, সেটা আমদেরই করতে হবে। সুতরাং এ সময়টুকু কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্যই লাগছে। আরটিভি
Copied from: https://rtvonline.com/